মাসুদূর রহমান: জীবনটা কি অতই সহজ। বাঁচার জন্য এই ত্রিভূবনে লড়াই করতে হয়। কথাটা লোক মুখে প্রচলিত। প্রকৃতির রোষানলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে হাজার হাজার মানুষের। দিনরাত এক করে উদ্ধার কাজে ব্যাস্ত সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে বিশেষ পোষ্য কুকুর।
কিন্তু একের পর এক নিথর দেহ উদ্ধার হয়েছে তুরস্কের ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপ বিল্ডিং এর নীচে থেকে। আর এই উদ্ধার কাজের সময় পার হয়েছে ২০৪ ঘন্টা অর্থাৎ আট দিন। কিন্তু কোথাও যেন নিজেদের কর্মকে স্বার্থক মনে করছেন উদ্ধারকারী দলের জওয়ানেরা।
কারন ২০৪ ঘন্টা পর ধ্বংসস্তূপের নীচে থেকে ৫ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। যা রীতিমতো সকলের কাছে অবিশ্বাস্য। বিশাল বিশাল আবাসন বতর্মানে এক ধ্বংসস্তূপ। প্রকৃতির রোষানল সব শেষ করে দিয়েছে। চিরতরে হারিয়েছে আপনজনদের। ভূমিকম্পের ২০৪ ঘণ্টা পর ধসে পড়া ধ্বংসস্তূপ থেকে পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ভূমিকম্পের ৮ দিনের বেশি সময় পর মঙ্গলবার ঐ পাঁচজনকে উদ্ধার করেছেন তুরস্কের উদ্ধারকর্মীরা।
গত সোমবার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে তুরস্ক ও সিরিয়ায়। রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে দুই দেশে এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে হাজার হাজার আবাসন ভেঙে পড়ায় প্রাণহানি দ্বিগুণের বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, মঙ্গলবার বিকেলে হাতায় শহরের ধ্বংসস্তূপ থেকে এক মহিলা ও এক পুরুষকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। একইদিন সকালের দিকে আদিমান প্রদেশের একটি ধসে যাওয়া বাড়ির নিচ থেকে এক কিশোরকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আদিমানের একটি বাড়ির ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে ঐ কিশোরকে উদ্ধারের পর স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় সময় তার মুখে অক্সিজেন মাক্স ও হাতে স্যালাইন লাগিয়ে সেখানেই চিকিৎসা শুরু করে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা।
ভূমিকম্পে ধসে যাওয়া ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়ার প্রায় ১৯৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার এক কিশোরকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাওয়ার সময় হাতের আঙুল নড়াচড়া করতে দেখা যায়। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, তিনি প্রানে বেঁচেছেন।