মাসুদূর রহমান

সোমবার ভোরের আলো ফোটার আগেই সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্তে ছড়ায় আতঙ্ক। জোরালো কম্পনে ধসে পড়ে সুউচ্চ আবাসন সহ বিভিন্ন ছোটো বড় ইমারত। ঘুমের মধ্যেই ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়েন বহু মানুষ। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানান, স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বিস্তীর্ণ জনপদ। যার স্থায়িত্ব ছিল ৪৫ সেকেন্ডের মতো। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তুরস্কের সীমান্তবর্তী শহর গাজিয়ানতেপ। এর উৎপত্তি ছিল ভূ-ভাগ থেকে ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে।

এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই মৃতের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণও হতে পারে। শুধু একবার নয় মোট তিনবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আর এই মাত্র গুলো ৭.৮,৭.৬ এবং ৬.০। যা রীতিমতো বিস্তৃর্ণ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিনত করে দিয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। আর মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিপর্যয় পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে, আমাদের দেশ ভারতও ত্রান সহ দুর্যোগের বিপর্যয় সামলাতে রেসকিউ টিম পাঠিয়েছে। তুরস্কের দুঃসময়ে তাঁর পাশে যে ভারতবাসীর রয়েছে তার স্পষ্ট।

শুধুমাত্র তুরষ্কে ২ হাজার ৩৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, আর পাশ্ববর্তী দেশ সিরিয়ায় ১ হাজার ৪৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আহতদের সংখ্যা অগুনতি। ভারতসহ একটি উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে। দলে রয়েছে, বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর, চিকিৎসকের দল, ড্রিল মেশিন এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। ভোর রাতের এই ভূমিকম্পে হাজার হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে গ্রাম ও শহরগুলোয় উদ্ধারকর্মীদের ধ্বংসস্তূপ অনুসন্ধানের সাথে সাথে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।